রোববার (১ আগস্ট) তিনি এ কথা জানান।
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, ‘টিকাদান কেন্দ্র বাড়বে। সিটি করপোরেশন এবং গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ে যখন টিকা দেওয়া শুরু হবে, তখন টিকা গ্রহীতা অনেক বেড়ে যাবে। আমরা চাচ্ছি, হাসপাতাল থেকে টিকাকেন্দ্র বের করে নিয়ে আসতে।’
হাসপাতালে টিকাদান কেন্দ্র করার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এতদিন ধরে যে বড় ভয় ছিল, টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা,যার জন্য ইমিডিয়েট হাসপাতালের সাপোর্ট লাগবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, গত কয়েকমাসে এত এত টিকা দেওয়া দেখলাম, সেরকম মেজর কোনও দুর্ঘটনার সম্মুখীন হইনি।’
ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, ‘সেক্ষেত্রে যদি হাসপাতালগুলোকে ফ্রি না করি, তাহলে প্রতিটি হাসপাতালেই স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালের বাইরে আনলেই টিকাকেন্দ্র বেড়ে যাবে। আর কেন্দ্র বাড়লেই আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারবো।’
সোমবার (২ আগস্ট) থেকে দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম টিকা দেওয়া শুরু হবে। সেক্ষেত্রে যাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার নির্ধারিত তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে, কিন্তু এখন দেওয়া হলে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে কিনা প্রশ্নে ডিজি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার বেলায় গ্যাপটা বেশি হলে অ্যান্টিবডি টাইটার বাড়ে, তার মানে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।’
সেক্ষেত্রে তিন মাস খুব বেশি গ্যাপ না। আমরা আশা করছি, এতে কোনও ক্ষতি হবে না।’