মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের গণমাধ্যমে বলেন, পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপের একটি অংশ ফেরির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই স্থানে ঢালাই ভেঙে দুটি রড দেখা যাচ্ছে। গত জুলাই মাসে দুবার এবং চলতি মাসে একবার এমন ঘটনা ঘটল। পাঁচ বছর ধরে নদীতে পিলার রয়েছে। তখনো নদীতে স্রোত ছিল। অন্য নৌযানও চলেছে। এ বছর কেন এমন ঘটনা ঘটছে, সেটি বোধগম্য নয়। তিনি আরও বলেন, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, যাদের মাধ্যমে ঘটেছে, দুটিই সরকারি সংস্থা। সরকার তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন বলেন, পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী থানায় একটি জিডি করেছেন। তদন্তের ভার মাওয়া নৌ–পুলিশ ফাঁড়িকে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি কেন এবং কীভাবে ঘটেছে, বিস্তারিত খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (৯ আগস্ট) মাদারীপুর বাংলাবাজার ঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর শিমুলিয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর ১০ পিলারের কাছে এসে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ফেরিটি পিলারের পাইল ক্যাপে ধাক্কা দেয়। এতে ঢালাই ভেঙে দুটি রড বেড়িয়ে আসে। ফেরিও ফেটে যায়। এ সময় ফেরিতে থাকা একটি গমভর্তি ট্রাক দুটি প্রাইভেটকারের ওপর উল্টে পড়ে।
এর আগে জুলাই মাসে দুই দফায় পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটে। ২০ জুলাই পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথের রো রো ফেরি শাহ মখদুমের তলা ফুটো হয়ে যায়। ২৩ জুলাই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি শাহ জালাল ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।