তারা বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বন্ধ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন হচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও হতাশা নেমে এসেছে। বহু শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
একইসঙ্গে গণটিকা কর্মসূচির ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা বন্ধ করার আহ্বান জানান খেলাফত মজলিসের শীর্ষ এই দুই নেতা। তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকাদান কর্মসূচির আওতাভুক্ত করুন।
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে দাবি করেন খেলাফত মজলিসের নেতারা। তারা বলেন, যেহেতু ১১ আগস্ট থেকে সারাদেশে সবকিছুই খুলে দেওয়া হচ্ছে। তাই আর বিলম্ব না করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে দুই শিফটে নির্ধারিত দূরত্বে শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস করা যেতে পারে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বিশেষ করে কওমি মাদরাসা ও হেফজখানাগুলো আগে খুলে দিন। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী আবাসিক হলে থাকার কারণে বাইরে যাতায়াত কম থাকে। তাই সংক্রমণের ঝুঁকিও কম থাকে। তাছাড়া করোনাকালীন গত রমজানের আগ পর্যন্ত মাদ্রাসাগুলো খোলা ছিল। সেখানে ব্যাপক সংক্রমণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।