এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণ ক্ষমতার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে নৌযান চালানো যাবে।
এর আগে, করোনা পরিস্থিতিতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচলের কারণে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। তবে বুধবার থেকে শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়ায় বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে লঞ্চের ভাড়া বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই নতুন করে লঞ্চের ভাড়া বাড়ছে না।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, পুরো টার্মিনাল এলাকা জনশূন্য। লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশের কাউন্টারগুলো বন্ধ। টার্মিনাল পাহারায় অলস সময় পার করছেন আনসার বাহিনীর সদস্যরা। ঘাটে নোঙর করে রাখা শতাধিক লঞ্চ। বেশির ভাগ লঞ্চে চলছে ধোয়ামোছার কাজ। কোথাও আবার করা হচ্ছে নতুন রং। মেরামত করা হচ্ছে বিভিন্ন অংশ।