সি-চেক একটি দীর্ঘমেয়াদি, জটিল এবং উচ্চ কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন চেক যাতে উড়োজাহাজের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্মোচনের মাধ্যমে বিশদভাবে নিরীক্ষান্তে উড়োজাহাজকে নভোযোগ্য করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বোয়িং-৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনারের সি-চেক প্রতি তিন বছর পর পর সম্পন্ন করতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) থেকে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’-এর প্রথম সি-চেক কার্যক্রম শুরু করলো বিমান। বিশ্বের খুব স্বল্প সংখ্যক এয়ারলাইন্সেরই বোয়িং-৭৮৭ এর মতো অত্যাধুনিক উড়োজাহাজের সি-চেক করার সক্ষমতা রয়েছে। এটি বিমান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট পরিদফতরের সক্ষমতা অর্জনের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।
এ যাবত বিমানের যে কোনো ধরনের নতুন উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে প্রথম সি-চেক বিদেশি এমআরও মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে আসছে। পূর্বে বিদেশি সংস্থা থেকে সি-চেক সম্পন্ন করতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হতো, এখন থেকে সি-চেক সফলভাবে দেশে সম্পন্ন হলে উড়োজাহাজ প্রতি আনুমানিক ৬ লাখ মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে।
এয়ারলাইন্সটির প্রকৌশলীরা বিদেশ থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ, কারিগরি জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সে বিমানের অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’-এর সি-চেক কার্যক্রম শুরু করেন।
সি-চেক কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল উপস্থিত থেকে সবাইকে উৎসাহ দেন এবং সাফল্যজনকভাবে কার্যক্রম পরিসমাপ্তির আশাবাদ ব্যক্ত করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অগ্রিম অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
বর্তমানে বিমান বহরে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন চতুর্থ জেনারেশনের ছয়টি বোয়িং-৭৮৭ (ড্রিমলাইনার) উড়োজাহাজ রয়েছে। যার সবকটিই ইটিওপিএস মানদণ্ড অনুসারে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। উড়োজাহাজগুলো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ন্যায় বিভিন্ন দূরবর্তী গন্তব্যে দক্ষতার সঙ্গে স্বল্প জ্বালানি ব্যয়ে চলাচলে সক্ষম।