রোববার (২৯ আগস্ট) ‘রোল অব স্মার্ট ইনভেস্টর অ্যান্ড মার্কেট সার্ভেইল্যান্স’ শীর্ষক গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে বিভিন্ন ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে গণশুনানি করা হচ্ছে। যা কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এখান থেকে অনেক করণীয় বিষয় উঠে আসে। বিনিয়োগকারীরা আগের তুলনায় এখন অনেক স্মার্ট। তারা এখন আর অন্যের দেখাদেখি সবাই ক্রয় বা বিক্রয় করে না। এছাড়া ১টি আইটেমের পরিবর্তে অনেকগুলো দিয়ে পোর্টফোলিও সাজায়।
অনুষ্ঠানে সমাপনি বক্তব্য রাখেন আরেক কমিশনার মো. আব্দুল হালিম। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সাধারন সম্পাদক মো. মনির হোসেন।
রেগুলেটরদের সার্ভেল্যান্স নিয়ে কেউ কেউ অনুষ্ঠানে প্রশ্ন তুলেন। এক্ষেত্রে বিদ্যমান সক্ষমতার মধ্যেই সঠিকভাবে সার্ভেল্যান্স ব্যবহার না করা, কারসাজিকারীকে আয়ের থেকে শাস্তি কম প্রদানকে শেয়ারবাজারের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা বলে তুলে ধরেন। উদাহরন হিসেবে দৈনিক যুগান্তরে প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের কারসাজিকারদের বিস্তারিত তুলে ধরলেও রেগুলেটরদের সার্ভেইল্যান্সে ধরা না পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, একজন বিনিয়োগকারীকের স্মার্ট হতে গেলে কিছু গুণাবলি থাকতে হবে। এরমধ্যে বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার ব্যবসায় ব্যয়ের বিষয়ে জানতে হবে, রিস্ক কমানোর দক্ষতা থাকতে হবে, লোভ দূর করতে হবে, পুরো টাকা এক খাতে বিনিয়োগের পরিবর্তে কয়েক খাতে বিনিয়োগ করতে হবে এবং সর্বোপরি একটি আর্থিক পরিকল্পনা করতে হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও তিনি বলেন, একটি কোম্পানির পিএসআই প্রকাশের আগে কারা সেই কোম্পানির শেয়ার কিনে এবং তাদের সঙ্গে কোম্পানির কি সর্ম্পক্য তা খুজতে হয়। এজন্য আমাদেরকে অনেক তথ্য যাচাই করতে হয়। কিন্তু যদি এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেত, যে সফটওয়্যার বলে দেবে সন্দেহজনক লেনদেনের ব্যক্তিদের নাম। তাহলে কারসাজিকারদের শনাক্ত করা সহজ হয়ে যাবে।