রোববার (২৯ আগস্ট) ঢাকায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক) আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তালেবান পুনরুত্থান: তরুণ সমাজের করণীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে ঘাদানিকের সভাপতি শাহরিয়ার কবির, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট অমি রহমান পিয়াল, মারুফ রসুল, রিনা পারভিন, রুবি হক, সাংবাদিক সাব্বির খান ও তাপস পাল এবং জঙ্গিবাদবিরোধী জোটের নেতা মাওলানা হাসান বক্তব্য দেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তিসহ জনগণকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সম্পৃক্ত করে রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ফেসবুক-ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অপশক্তির নানা অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই দীর্ঘকালের। বিভিন্ন স্তরে বিভিন্নভাবে আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চ বা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সৃষ্টি হয়েছে।
তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে এখন অপতৎপরতার বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাত্র কয়েক বছর আগেও কয়েক লাখ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতো। বাংলাদেশে চার কোটি আশি লাখ মানুষ এখন ফেসবুক ব্যবহার করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মকে প্রভাবিত করা খুবই সহজ। তিন বছর আগেও অনলাইন নিয়ন্ত্রণে আমাদের কার্যকর কোনো প্রযুক্তি ছিল না। ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর প্রযুক্তি সরকারের হাতে রয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রযুক্তি এখনো আসেনি কিন্তু অতীতের তুলনায় ফেসবুকের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্কোন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তা কাজে লাগিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জঙ্গি অপতৎপরতা রুখতে প্রগতিশীল শক্তিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও তৎপর ভূমিকা নিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।