সম্প্রতি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২০ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দেখা গেছে সবাই প্রাণঘাতী ডেনভি-৩ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। খবর আনাদোলুর।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গবেষকরা রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন। ডেঙ্গুর জিনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর) দেশে ডেনভি-৩ ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি জানায়।
২০১৯ সালে সারা দেশে ভয়াবহভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পেছনেও এই ভ্যারিয়েন্ট দায়ী বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
ঢাকায় বিসিএসআইআরের ল্যাবে এই ভ্যারিয়েন্টটি ধরা পড়ে বলে জানান গবেষণা সংস্থাটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিম খান।
সরকারি এ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রোববার তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদোলুকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, ডেঙ্গুর চারটি ভ্যারিয়েন্ট আছে (ডেনভি-১-৪), এর সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে টাইপ-৩ অর্থাৎ ডেনভি-৩ ভ্যারিয়েন্টটি।
বাংলাদেশে ডেনভি-১ ও ডেনভি-২, এ দুই ধরনের ডেঙ্গু আগে থেকেই ছিল। এবার সবচেয়ে মারাত্মক ভ্যারিযেন্টটি ধরা পড়ল।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় ২০১৯ সালে। সে বছর ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয় এবং এদের মধ্যে ১৭৯ জন মারা যায়।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে, চলতি বছর এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৮৫৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৪২ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বর্ষাকালে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গুর এই টাইপ-৩ ভ্যারিয়েন্ট।