অচেনা কন্ডিশনে এসে মনে হচ্ছে ভিন্ন জগতে এসেছেন। ঘরের মাঠের কন্ডিশন পুরোপুরি উল্টো। পেস বান্ধব উইকেট। গতি থাকায় বোলিং করে মজা পান। বাউন্স পান নিয়মিত। বাতাসের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সুইংও আদায় করে নেন। কিন্তু বাংলাদেশের মন্থর উইকেটে গতি তুলতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়। বাউন্স পেতে শরীরের সব শ্রম ঠেলে দিতে হয়। বিরুদ্ধ এ কন্ডিশন আলাদা হবে একদমই স্বাভাবিক।
গণমাধ্যমে পিয়ার্স বলেন,‘এখানে সত্যিই সব ভিন্ন। বাড়ির মতো নয়। চোখ খুলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ভিন্ন জগতে আছি।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে কন্ডিশন নিয়ে বলেন, ‘প্রচুর গরম এখানে। এই প্রথম ট্রেনিংয়ে এতোটা উত্তাপ টের পেয়েছি। এখন মানিয়ে নিচ্ছি এবং অস্বস্তিবোধ অবস্থায় কিভাবে বোলিং করতে হবে সেটা শিখছি। তবে আপনি যদি হাইড্রেটেড থাকেন তবে দুর্দান্ত।’
এমন কন্ডিশনে কিভাবে বোলিং করলে ফল পাওয়া যাবে সেই রসদ খুঁজে পেয়েছেন পিয়ার্স,‘আমি গতি তুলতে পছন্দ করি। কিন্তু এখানকার কন্ডিশন ভিন্ন। এজন্য স্মার্ট হতে হবে। নেটে বোলিং করে মনে হচ্ছে দ্রুতগতির বলে ব্যাটসম্যানরা চড়াও হতে পারে। এজন্য বৈচিত্র্য থাকতে হবে। মনে হচ্ছে অফ কাটারে সফল হওয়া যাবে।’
২৩ পেরুনো সিয়ার্সকে নিয়ে অনেক আশা নিউ জিল্যান্ডের। জোরে বল করার সামর্থ্যে কাইল জেমিসনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এবার মূল তারকারা না থাকায় এলেন জাতীয় দলের হয়ে। অভিষেকের রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে তাকে,‘অভিষেক হলে দুর্দান্ত হবে। সফরটাই অনেকটা তালগোল পাকানো। আমি সম্ভবত দেশের ১৫তম পেসার। কারণ তারকা অনেকেই নেই এখানে। তবুও জাতীয় দলের হয়ে এখানে আসা বড় সুযোগ।’