বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিমকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে লন্ডনের এই বৈঠক হবে ’ঐতিহাসিক উপলক্ষ’।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে যুক্তরাজ্যের সভাপতিত্বে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনের প্রাক্কালে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের কারণে এই বৈঠক ’বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ’ নিয়ে হাজির হয়েছে।
হাই কমিশনার বলেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সব দিক নিয়ে আলোচনা করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্যিক সম্পর্ক, টিকা সহযোগিতা ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠানোসহ কোভিড-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য নতুন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব, বাংলাদেশি-ব্রিটিশ নাগরিক ও বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তির কর্মসংস্থান প্রভৃতি থাকবে আলোচনার কেন্দ্রে।
যুক্তরাজ্য সফরে বুধবার হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে স্বাগত জানাবেন হাই কমিশনার মুনা তাসনিম।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে কপ২৬ এর নির্বাচিত সভাপতি অলক শর্মার সঙ্গেও বৈঠক করবেন মোমেন। বৈঠকে জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের এজেন্ডা ও বাংলাদেশের সভাপতিত্বে প্রস্তাবিত সিভিএফ-কপ২৬ লিডার্স সামিট নিয়ে আলোচনা স্থান পাবে।
এসব আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পাশাপাশি চাথাম হাউজে ‘ফর্জিং এ সিভিএফ-কপ২৬ ক্লাইমেট সলিডারিটি’ বিষয়ে বক্তব্য দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
পাশাপাশি ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের দূত ও মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তার।
বাংলাদেশ হাই কমিশন পরিদর্শনে গিয়ে বঙ্গবন্ধু গ্রন্থাগার, বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষের পোট্রেট, বঙ্গবন্ধু কনস্যুলার সপ্তাহ ও হাই কমিশনের বর্ধিত অংশের উদ্বোধন করবেন তিনি।
এছাড়া কয়েকজন ব্রিটিশি এমপি ও বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি প্রবাসীদের বিভিন্ন আয়োজনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন যোগ দেবেন।