দীর্ঘদিন ধরে তিনি টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে। গত বছরের ৯ মার্চের পর টি-টোয়েন্টি খেলা হয়নি। এ সময়ে বাংলাদেশ ১২ ম্যাচ খেলেছে। চোটের কারণে তামিম এখন দলের বাইরে। জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও শুরুর হওয়ার অপেক্ষায় থাকা নিউ জিল্যান্ড সিরিজে তামিম খেলছেন না। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ায় তামিম লম্বা সময়ের জন্য বাইরে চলে যান।
দেশসেরা ওপেনারকে ফিরতে হতো বিশ্কাপ দিয়ে। কিন্তু বড় মঞ্চে খেলার জন্য নিজেকে এ মুহূ্র্তে উপযুক্ত মনে করছেন না তামিম। এজন্য যারা নিয়মিত খেলছে তাদের ওপরই আস্থা রাখার কথা বললেন।
তামিম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছি না। কিন্তু সম্ভবত এ বিশ্বকাপ আমার খেলা হবে না। আমার মনে হয় এটা ফেয়ার ডিসিশন। তরুণ যারা ওপেন করছে জাতীয় দলের হয়ে ওদের সুযোগ পাওয়া উচিত। আমার থেকে ওদের প্রস্তুতি ভালো। তারা আরও ভালো সার্ভিস দেবে আমাদেরকে।’
‘আমি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবো। নতুন করে কিছু বলার নাই। আশা করছি আমার প্রাইভেসি রক্ষা করবেন, সিদ্ধান্তকে সম্মান করবেন। বিতর্কিত কিছু নেই। আমি যেটা অনুভব করেছি সেটা করেছি। মানুষ হিসেবে আমি কেমন সেটা অনেকেই চেনেন না। যারা চেনেন তারা জানেন, আমি যেটা করি সেটা হৃদয় থেকেই করি। আমার মন তাই বলছে, যে সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি সেটা সঠিক এবং সঠিক সময়ে নিয়েছি।’
‘ইনশাআল্লাহ এর মধ্যে দেশে কিংবা বাইরে কোনো খেলা থাকলে সেখানে তো খেলার চেষ্টা করবো। সামনে তো আরও খেলা আছে সেখানে দেখা হবে।’
২০০৭ সালে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে খেলেছেন তামিম ইকবাল। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্যারিয়ার বর্ণাঢ্য হলেও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার আধারেই। ৭৮ টি-টোয়েন্টিতে ১৭৫৮ রান করেছেন, ২৪.০৮ গড় ও ১১৬.৯৬ স্ট্রাইক রেটে। নামের পাশে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফ সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কমপক্ষে ২০ ম্যাচ খেলেছেন এমন ৫০ জন ওপেনারদের মধ্যে স্ট্রাইকরেটের বিচারে তামিমের অবস্থান সবার নিচে। বিশ্বকাপে সর্বমোট ২৩ ম্যাচ খেলে খেলে তামিমের রান ৫১৪, গড় ২৪.৪৭। স্ট্রাইকরেট ১১৩.৪৬।