বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কোভ্যাক্স থেকে গত ৩১ আগস্ট আমরা একটি মেইল পেয়েছি সেখানে আমাদেরকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসনসহ সব ধরনের টিকারই অফার দিয়েছে। এবং কোন টিকা কতটুকু পরিমাণ আমরা নিতে চাই সে বিষয়ে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের আগ্রহের কথা জানাতে বলেছে।’
খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা আশা করছি এরমধ্যে মন্ত্রী (স্বাস্থ্যমন্ত্রী), সচিব (স্বাস্থ্য সচিব) এবং আমাদের টিকা সংক্রান্ত যে টিম রয়েছে, সবার সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই আমাদের চাহিদার বিষয়টি আমরা জানিয়ে দেব।’
স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চান স্কুলের শিশুদের টিকা দিতে। এ বিষয়টা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মাধ্যমে আমি জেনেছি। আগামীকাল সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি বৈঠক আছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে স্কুলের শিশুদের করোনা টিকা দেওয়া হবে কি না।’
বাচ্চদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা আমরা পাইনি, যোগ করেন স্বাস্থ্য ডিজি।
ডিজি আরও বলেন, ‘আমেরিকাতে স্কুল-কলেজে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। সেটা তাদের নিজের ব্যবস্থাপনায় দিয়েছে। নিজস্ব দেশের প্রটোকলের মাধ্যমে তারা দিয়েছে। এখন আমাদের দেশেও হতে পারে। আমাদের দেশের কর্তৃপক্ষ তারা যদি মনে করেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী চাইছেন টিকা নিশ্চিত করে স্কুল-কলেজ খুলে দিতে।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় পড়োশোনা অনেকটায় স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে ঘরে থেকে থেকে নানান ধরনের অসুবিধায় পড়ছেন, টিকা দিয়ে তাদের স্কুল-কলেজে নিয়ে আসতে পারলে সেটা খুবই ভালো হবে। শিক্ষকদের ইতোমধ্যে মোটামুটি টিকা দেওয়া শেষ।’
খুরশীদ আলম আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা অনেকেই টিকা দিয়ে ফেলছি। বাচ্চাদের আওতায় আনতে পারলে হয়তো দেওয়া যাবে। এজন্য কাল আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটি সভা আছে। এই সভা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে হওয়ার কথা। সভা শেষে হয়তো সিদ্ধান্ত হতে পারে আমরা কি করব।’