শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান।
খুরশীদ আলম বলেন, গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ টিকা নেননি। তাই সেখানে মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি। এছাড়াও আক্রান্ত হয়ে অনেকে দেরিতে হাসপাতালে এসেছেন। যা বেশি মৃত্যুর আরেকটি কারণ।
স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, মানুষের ধারণা ছিল স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা ভালো না। তাই তারা জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ভিড় করেন।
জনস্বাস্থ্যে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে প্রান্তিক পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। জনবলের ঘাটতি থেকে শুরু করে অনেক কিছু। তবে সেগুলো আসতে আসতে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় এখন উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালেও সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনা ভবিষ্যতে কোন পর্যায়ে যাবে আমরা কেউই জানি না। তবে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা আগেও রোগীদের পাশে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন খুরশীদ আলম।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন ২৪ কোটি টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাইকে টিকা দিতে পারলে আশা করছি শিগগিরই করোনা মোকাবিলায় আমরা সক্ষম হবো।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারের কোভিড বিষয়ক কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বরদন জং রানা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সালসহ আরও অনেকে।
এতে সভাপতিত্ব করেন পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মুনির হোসেন।