এ হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতা মিলে লাখো মানুষ জমে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ফুলছড়ি হাটে প্রশাসন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতার অভাবে পচে যাচ্ছে যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার অর্ধশত চরে উৎপাদিত কৃষি পণ্য।
বর্তমানে জেলায় কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা প্রতি মণ। টমেটো ৮০ টাকা প্রতি মণ আর বেগুন ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা প্রতি মণ। অর্থাৎ প্রতিকেজিতে দাম আসছে প্রায়, এক কেজি মরিচের দাম ৩ টাকা, টমেটো ২ টাকা, বেগুন পোনে ২ টাকা।
এত কম দামে পণ্য বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা লোসকান দিতে হচ্ছে। তবে প্রশাসন বলছে, চরাঞ্চলের মরিচ চাষিদের মরিচ শুকানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলছড়ি হাট যেন অচেনা রূপ ধারণ করেছে। দুই সপ্তাহ আগেই রাস্তার পাশে হাজারো লোকের ভিড়ে পথ চলা কঠিন ছিল কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আজ সবকিছু ফাঁকা। দেড় যুগের ঐতিহ্যবাহী এই হাটের এমন অবস্থা হবে কেউ কখনও ভাবতে পারেনি।
খাটিয়ামারি গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক জানান, তার উৎপাদিত মরিচ, বেগুন, টমেটো পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা মণ। টমেটো ৮০ টাকা ও বেগুন ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা মণ। গলায় দড়ি দিয়ে মরণ ছাড়া উপায় নেই তাদের।
আব্দুল কাদির নামের এক মরিচ চাষি জানান, প্রশাসন মরিচ শুকানোর পরামর্শ দিচ্ছে। মরিচ বিক্রি করে চাল, ডাল, লবণ, মশলা কিনতে হয়। মরিচ শুকালে সংসার চলবে কিভাবে। কে নেবে দায়িত্ব?