প্রতিবেদেন আরও বলা হয়েছে, চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও জাপানে টিকার ডোজের মজুত পৌঁছেছে ৫০ কোটিতে, যার মধ্যে ৩৬ কোটি ডোজের ভবিষ্যৎ কী হবে- তা এখনও অনিশ্চিত। অর্থাৎ, এই ডোজগুলো প্রয়োজনের অতিরিক্ত এবং এগুলো দান করা হবে কি না সে ব্যাপারে এসব দেশ ও রাষ্ট্রসংঘ এখনও কোনো পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্ত নেয়নি।
সেই হিসেবে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই দেশগুলোর টিকার ডোজের মোট মজুতের পরিমান পৌঁছাবে ১৬০ কোটি ডোজে এবং এর মধ্যে অতিরিক্ত ডোজের পরিমাণ থাকবে ১২০ কোটি।
উন্নত দেশগুলোর বাড়তি টিকার ডোজ মজুত এবং এ কারণে বিশ্বজুড়ে করোনা টিকা বণ্টনে সৃষ্ট অসাম্য নিয়ে ব্যাপক এর আগে ব্যাপক সমালোচনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও বিভিন্ন দাতাসংস্থা।
কোভ্যাক্স প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি বছর শেষ নাগাদ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা ১৯০ টি দেশে মোট ২০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ডব্লিউএইচও। পর্যাপ্ত টিকার ডোজের অভাবে এই দেশগুলোর মধ্যে ৯২ টি দেশে টিকাদান কার্যক্রম প্রায় স্থবির পর্যায়ে রয়েছে।
ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, এই ৯২ টি দেশে করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন ২০ শতাংশেরও কম।
সোমবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান পরিচলক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে ৫০০ কোটিরও বেশি এবং এই ডোজগুলোর প্রায় ৭৫ শতাংশই ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র ১০ টি দেশে।’
‘এই ৫০০ কোটি ডোজের মাত্র ২ শতাংশ গেছে আফ্রিকায়।’
আফ্রিকা মহাদেশভিত্তিক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা আফ্রিকা সিডিসির (আফ্রিকা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল) প্রধান নির্বাহী জন এনকেনগাসং সম্প্রতি বলেছেন, মহাদেশে টিকাদান কর্মসূচির চিত্র খুবই হতাশাজনক।
উন্নত দেশগুলোর অতি মাত্রায় টিকার ডোজ মজুতের সমালোচনা করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনও। সম্প্রতি তিনি বলেছেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত টিকার ডোজ মজুতের মাধ্যমে উন্নত দেশগুলো আদর্শিক বিচ্যুতির চরম সীমায় পৌঁছেছে।
সূত্র : আল জাজিরা