গত জুলাইজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা চলমান ছিল। ঈদের কারণে সপ্তাহখানেক দোকানপাট খুললেও প্রায় সবকিছু বন্ধ ছিল। ফলে জুলাইয়ে রাজস্ব আদায় কাঙ্ক্ষিত হারে হয়নি। ব্যবসা-বাণিজ্য সচল থাকলেও আগের মতো চাঙাভাব নেই, ফলে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না।
করোনার কারণে এখনো রাজস্ব আদায় স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি। অথচ চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বিশাল লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, যা বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে হবে, যা আগে কখনো হয়নি।
এবার জুলাইয়ে রাজস্ব আদায়ে শুল্ক খাতে আগের বছরের জুলাইয়ের তুলনায় রাজস্ব আদায় কমেছে। এ বছরের জুলাইয়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা, গতবারের জুলাইয়ের চেয়ে ৯০ কোটি টাকা কম। গতবার জুলাইয়ে ৫ হাজার ১৫ কোটি টাকা আদায় হয়েছিল।
অন্যদিকে গত জুলাইয়ে আগের বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ৮০ কোটি টাকা রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে। এবার জুলাইয়ে ৫ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকার ভ্যাট আদায় হয়েছে, গতবার যা ছিল ৫ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। ভ্যাট বিভাগের আওতায় সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক আদায় কমেছে।
তবে আয়কর আদায় পরিস্থিতি বেশ ভালো। আয়কর ও ভ্রমণ কর আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা, যা আগেরবারের জুলাইয়ের চেয়ে ৬০০ কোটি টাকা বেশি। গত বছরের জুলাইয়ে ৪ হাজার ১১৮ কোটি টাকার আয়কর আদায় হয়েছিল। ইদানীং আকাশপথে ভ্রমণ বেড়েছে, ফলে ভ্রমণ কর আদায়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এবারের জুলাইয়ে ভ্রমণ কর–এ প্রবৃদ্ধি ৭৮৭ শতাংশ। গতবার জুলাইয়ে মাত্র ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ভ্রমণ কর আদায় হয়েছিল। এ বছরের জুলাইয়ে তা বেড়ে ২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।