প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ সিরিজ জিতবে নাকি অপেক্ষা বাড়বে? নিউ জিল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ বাঁচিয়ে রেখেছে। চতুর্থ ম্যাচে তারা জিতলেই সিরিজে সমতা ফেরাবে।
কি হবে চতুর্থ ম্যাচে? বাংলাদেশ সিরিজ জিতবে নাকি নিউ জিল্যান্ড সমতা ফেরাবে? মিরপুর শের-ই-বাংলায় এই দুটি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। তৃতীয় ম্যাচের পর দুদিনের সময় পেয়েছিল দল। সোমবার বিশ্রামে কাটানোর পর মঙ্গলবার দুই দলই নেমেছে অনুশীলনে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুশীলন করেছে অতিথিরা। বাংলাদেশ মাঠে নেমেছে দুপুরের পর।
প্রথম দুই ম্যাচে পারফরম্যান্স আঁটসাঁট হলেও তৃতীয় ম্যাচে ছন্নছড়া পারফরম্যান্সে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে লড়াই করলেও ব্যাটিংয়ে স্রেফ উড়ে যায় দল। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা রানে নেই। বিশ্বকাপের ঠিক আগে ব্যাটসম্যানদের অফফর্ম ভাবনার বড় কারণ। ওপেনিংয়ে লিটন ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেন না। নাঈমের ব্যাটিং ধীর গতির। সাকিব, মুশফিকের বাজে সময় যাচ্ছে। মাহমুদউল্লাহ টুকটাক রান করছেন। বাকিরা রয়েছেন আড়ালে।
বুধবার সিরিজ জিততে হলে ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে মিরপুরের ২২ গজে। অবশ্য কন্ডিশনের কারণে এখানে রান করা প্রচন্ড কঠিন কাজ তা বলতে দ্বিধা করেননি বাংলাদেশের ওপেনার লিটন, ‘টি-টোয়েন্টিতে সবসময় মানসিকতা থাকে বড় স্কোর করার বা স্ট্রাইক রেটটা ঠিক রাখার। যেহেতু এ জিনিসটা হচ্ছে না খেলাটা এভাবেই পাল্টাতে হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এরকম উইকেটে ম্যানেজ করে নেওয়া একটু কঠিন। কারণ প্রতিটি ব্যাটসম্যানই একটু আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকে।’
নিউ জিল্যান্ড কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে বোঝাই যায়। তৃতীয় ম্যাচ জিতেছে নিজেদের পেশাদারিত্ব ও হোম ওয়ার্কের কারণেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সেরা খেলাটা বের হয়ে আসছে। যা বাংলাদেশের জন্য হুমকি হতে পারে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছে আটটি। সেই তালিকায় আছে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়ার মতো দল। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। সিরিজ জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে। সেই সুখস্মৃতি এখনও তরতাজা।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতেছে। প্রত্যাশা ছিল তৃতীয় ম্যাচেই নিশ্চিত হবে সিরিজ। কিন্তু টম লাথামের দল চমকে দিয়ে বাংলাদেশকে অপেক্ষা বাড়ায়। বুধবার সিরিজ জয়ের মিশন শেষ করতে পারবে স্বাগতিকরা নাকি শেষ ম্যাচেই হবে সিরিজ নির্ধারণ। প্রশ্নটা সময়ের কাছেই তোলা থাক।