বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহকারী প্রধান (অপারেশনস) রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. আশরাফুল হক এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফ হক চৌধুরীর উপস্থিতিতে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই দুই বাহিনীর কাছে নৌযানগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র এই নৌযানগুলো উপহার দিয়েছে।
এরমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ১০টি ৩৮ ফুট (১১ মিটার) দৈর্ঘের ডিফিয়ান্ট ক্লাস মেটাল শার্ক বোট এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে ১০টি ২৫ ফুট (৮ মিটার) দৈর্ঘের ডিফেন্ডার ক্লাস বোট দেওয়া হয়েছে।
নতুন এই সামরিক সরঞ্জামগুলো ব্যবহার ও কাজে লাগাতে প্রশিক্ষণের জন্য আগামীতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ মহড়া পরিচালনা করবে।
এছাড়া এর মাধ্যমে সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকা ও বাংলাদেশের আওতাধীন সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে নজরদারি, টহল ও হুমকি মোকাবিলার সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে এই মেটাল শার্ক ও ডিফেন্ডার নৌযানগুলো দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই ২০টি বোট বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর স্পেশাল অপারেশনস ফোর্সের অধীন স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ ইউনিটের সামুদ্রিক বাধা মোকাবিলা ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাব উন্নত ও জোরদার করবে।
রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘এই বোটগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান দীর্ঘকালের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগিতার ইতিহাসে আরেকটি বড় উদাহরণ।’