পাশাপাশি দেশটির বিভিন্ন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এর আগে, সুরক্ষা সামগ্রী, মাস্ক, থার্মোমিটারসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট বাংলাদেশকে দিয়েছিল চীন।
বাংলাদেশে অবস্থিত চীন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই'র মধ্যে ৪৫ মিনিট টেলিফোনে আলোচনা হয়। এ সময় চীনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সহায়তার জন্য চীন সব ধরনের তথ্য, অভিজ্ঞতা এবং মেডিক্যাল টিম পাঠাতে প্রস্তুত। চীনে যখন এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছিল তখন বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এবং সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। এখন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় চীন মনে করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরোধমূলক ও ভবিষ্যতে এর সংক্রমণ রোধে আশু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ওয়াং টেলিফোনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে চীন বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে একসঙ্গে এই ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করবে। শুধু তা-ই না, এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়বে, তা মোকাবিলা করার জন্য স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক শিল্পগত সহায়তা বজায় রাখা এবং এই অঞ্চল ও বিশ্বের মানুষের সুরক্ষার জন্য কাজ করবে চীন।
ওয়াং আশা প্রকাশ করেন, কোভিড-১৯ ভাইরাস মোকাবিলায় যৌথ প্রয়াসের কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের দেখভাল করার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জানিয়ে মোমেন বলেন, এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার মাধ্যমে এটি আবার প্রমাণিত হলো চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নির্ভরযোগ্য বন্ধু ও অংশীদার।
করোনাভাইরাস ছাড়াও দুইপক্ষ রাখাইন প্রদেশ নিয়ে আলোচনা করে। বাংলাদেশ আশা করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা দ্রুত তাদের দেশে ফেরত যেতে পারবে। চীন এ বিষয়ে মধ্যস্থতার ভূমিকা বজায় রাখতে তৈরি বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।