বাংলাদেশে নিযুক্ত মিসরীয় রাষ্ট্রদূত হায়থাম ঘোবাশি শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, এটি অবশ্যই ব্যবসা বিনিময়, কার্গো, মিসরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং বহুমুখী মিসরীয় পর্যটন অন্বেষণ করতে আসা পর্যটকদের ওপর প্রভাব ফেলবে।
মিসরীয় দূতাবাস এখানে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-মিসর বিমান যোগাযোগের ঘোষণা উদযাপনের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মিসরের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও কায়রোর মধ্যে সপ্তাহে দুটি বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘোবাশি বলেন, বাংলাদেশে মিসর এয়ারের উদ্বোধন আমাদের দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।
বাণিজ্য, পর্যটন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মিসরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত তার দেশকে আধুনিক সভ্যতার আঁতুড়ঘর হিসেবে অভিহিত করে মিসরীয় আতিথেয়তা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করার জন্য বাংলাদেশের পর্যটক ও যাত্রীদের স্বাগত জানান।
দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টাকে দূত ধন্যবাদ জানান।
স্টার অ্যালায়েন্স সদস্য ইজিপ্টএয়ার মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ ৮০টিরও বেশি গন্তব্যে ৬৯টি বিমান নিয়ে গঠিত একটি বহরে নির্ধারিত যাত্রী ও মালবাহী পরিষেবা পরিচালনা করে।
ঢাকা ও কায়রোর মধ্যে প্রতি সপ্তাহে দুটি সময়সূচি বিমান পরিচালনার লক্ষ্যে চলতি বছরের ১৮ আগস্ট কায়রোতে ইজিপ্টএয়ার ও এএলও ঢাকা এভিয়েশন লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
বিমানটি দুবাই এবং ইস্তানবুলের বিকল্প হিসেবে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার জন্য নির্ধারিত বাংলাদেশি যাত্রী এবং কার্গোগুলোর একটি সাশ্রয়ী বিকল্প প্রদান করবে।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিসরের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগের মাধ্যমে প্রবাসী ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র: বাসস