এতে ট্রলারে থাকা ছয় জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন মো. শরীফ, আলী হোসেন, আবদুল মজিদ, শেখ আহমদ, রহিম খান ও মো. জীবন। তারা সবাই চট্টগ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে, রহিম খান, মো. জীবনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বুধবার রাতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের স্টাফ কর্মকর্তা (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (বিএন) এম সাইফুল ইসলাম।
কোস্টগার্ডদের ভাষ্য মতে, গত শনিবার চট্টগাম থেকে ডিপ সি ট্রলিং কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মেজর আবদুল মান্নানের মালিকানাধীন ‘এফবি সানিয়া’ নামে একটি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায়। মঙ্গলবার রাতে তারা সেন্টমার্টিনের অদূরে পূর্ব-দক্ষিণে সাগরের মিয়ানমার জলসীমানায় মাছ ধরতে ঢুকে পরে।
এসময় হঠাৎ মিয়ানমারের নৌবাহিনী মাছ ধরার ট্রলারকে থামানোর সংকেত দেয়। তারা সংকেত অমান্য করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। এতে ছয় জেলে গুলিবিদ্ধ হন। পরে বাংলাদেশে কোস্টগার্ডের টহল জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত জেলেদের উদ্ধার করে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের স্টাফ কর্মকর্তা (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (বিএন) এম সাইফুল ইসলাম বলেন, 'গুলিবিদ্ধ ছয় জেলেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেদেশে জলসীমায় মাছধরার সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাদের ধাওয়া করে গুলি চালিয়েছিল। তাদের হাত-পা, পিঠ ও চোখের নিচে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। জেলেদের বারবার আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম না করতে বলা হলেও তারা এটি অমান্য করছেন। তাই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
তবে ডিপ সি ট্রলিং কোম্পানির জিএম আমিরুল জামান বলেন, সাগরের বাংলাদেশের জলসীমানায় মাছ ধরার সময় অতর্কিতভাবে তাদের ফিশিং ট্রলারে গুলি চালায় মিয়ানমার নৌবাহিনী। এতে ৬ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা এখন চিকিৎসাধীন অবস্থা রয়েছেন।