বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির কাছে ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আগামী তিন বছরে ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ত্রৈমাসিক কিস্তিতে শেয়ার ছাড়তে চায় তারা। বর্তমানে ওয়ালটনের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার লকইন থাকায় শেয়ার ছাড়ার জন্য অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার পর বিদ্যমান দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার মিলিয়ে ওয়ালটনের ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫ শতাংশে। বাকি ৫ শতাংশ শেয়ার তিন বছর পর কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে ছাড়তে চায় ওয়ালটন।
প্রসঙ্গত, কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে ১০ শতাংশের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হলে কোম্পানিটিকে আরও ৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। এছাড়া আইসিবিকে ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ ও বার্জার পেইন্টসকে ৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। তিন কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ধারণ করা শেয়ার থেকেই এ শেয়ার ছাড়তে হবে। এক্ষেত্রে নতুন করে কোনো শেয়ার ইস্যু করা হবে না।
শেয়ার ইস্যুর জন্য কোম্পানিগুলোকে সর্বোচ্চ এক বছর সময় দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ করে শেয়ার ছাড়া যাবে। বিদ্যমান বাজারদরে শেয়ার ছাড়তে হবে। প্রতি মাসে শেয়ার ছাড়ার বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।