চায়ের স্বাদে ভিন্নতা পেতে এতে অনেকেই মেশান আদা, লেবু, তুলসী, পুদিনা, মধুসহ বাহারি সব উপাদান। আর চায়ের স্বাদের ভিন্নতার পাশাপাশি যদি মেলে বাড়তি স্বাস্থ্য উপকার, তা হলে কেমন হয় বলুন তো?
তাই আজ জানুন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলুদ চায়ের বিষয়ে। স্বাদ পরিবর্তনের পাশাপাশি হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও অনেক কার্যকরী হবে। আর এটি বানানো অনেক সহজ। চায়ে হলুদের গুঁড়া বা গরম পানিতে হলুদের গুঁড়া অথবা কুচি করে ১০ মিনিট ফুটিয়ে ছেঁকে নিলেই তৈরি হলুদ চা।
জানুন হলুদ চায়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা—
১. বাতের উপসর্গ কমাতে সহায়তা করে
হলুদ চা পান করলে তা বাতের ব্যথার উপসর্গ কমাত সহায়তা করতে পারে। হলুদে থাকা কারকিউমিন আর্থ্রাইটিস প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে এবং বাতের উপসর্গ কমায়।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
হলুদ চা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকায় এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
৩. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে
হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি কারকিউমিন উপাদান থাকার কারণে এটি শরীরের কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। আর এর ফলে এটি ক্যান্সারের বৃদ্ধি, বিকাশ ও ছড়িয়ে পড়া কমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, হলুদে থাকা কারকিউমিন টিউমারের বৃদ্ধি এবং ক্যান্সার কোষের বিস্তারকে কমায়।
৪. লিভারের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে
হলুদ চায়ে থাকা কারকিউমিন লিভারের ক্ষতি, পিত্তথলির পাথর ও লিভারের অবস্থা পরিচালনায় উপকারী ভূমিকা পালন করে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কারকিউমিন লিভারের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। এ ছাড়া হজম তরল পিত্তের উত্পাদন বৃদ্ধি করা এবং লিভারের কোষগুলোকে পিত্ত-সম্পর্কিত রাসায়নিকের ক্ষতি থেকে রক্ষা সহায়তা করে এটি।
৫. ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে
অনেক আগে থেকেই হলুদকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাণী ও মানুষের ওপরে করা বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কারকিউমিনে সম্পূরক ডায়াবেটিসবিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকে।
৬. ফুসফুসের উপকারী
ফুসফুসের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করে হলুদ চা। এতে থাকা কারকিউমিন উপাদান প্রদাহবিরোধী এবং এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ফুসফুসের ক্ষতিকর লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।