রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে থাইল্যান্ডে যেতে ইচ্ছুকরা ভিসা ও সার্টিফিকেশন অব এন্ট্রি (সিওই) আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনকারীদের দেশটির করোনাকালীন নিয়ম মেনে চলতে হবে। ১৪ দিনের কোয়েরেন্টাইনসহ করোনার টিকা নেওয়া থাকতে হবে।
এর আগে, থাইল্যান্ডের পর্যটন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের কোভিড টিকার দুটি ডোজ সম্পূর্ণ, তাদের আর ব্যাংককসহ আরও চার প্রদেশের হোটেলে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না।
থাইল্যান্ডের অর্থনীতির অন্যতম আধার পর্যটন। কোভিড পরিস্থিতিতে যা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৯ সালে প্রায় চার কোটি আন্তর্জাতিক পর্যটক এসেছিল থাইল্যান্ডে। ২০২০ সালে তা কমে হয় প্রায় ৬৭ লাখ। চলতি বছরে মাত্র ২৯ হাজারের মতো আন্তর্জাতিক পর্যটক দেশটি ভ্রমণ করেন।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় পর্যটকদের জন্য থাইল্যান্ডের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। পরে শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেয় থাইল্যান্ড প্রশাসন। তাতেও ছিল কড়া বিধিনিষেধ। ফুকেতে চালু করা হয় ‘স্যান্ডবক্স স্কিম’। যাতে বলা হয়, ফুকেতে প্রবেশের ১৪ দিন আগেই ‘হু’য়ের অনুমোদিত টিকার দুটি ডোজই দিতে হবে। ফুকেতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
যতদিন ফুকেতে থাকবেন ততদিন অ্যাপের মাধ্যমে নিজের লোকেশন ও থাকার জায়গা সম্পর্কে জানাতে হবে। মোটা টাকার কোভিড হেলথ ইনস্যুরেন্স থাকতে হবে।
জানা গেছে, এই ‘স্যান্ডবক্স স্কিম’ একটু শিথিল করে বাকি জায়গায়ও প্রযোজ্য হচ্ছে। ২১ অক্টোবরের পর চিয়াং রাই, সুখোতাই ও রায়ং এলাকাতেও ঘুরতে যাওয়া যাবে। পরে সুমোই, তাও, ফানগানেও প্রবেশ করা যাবে। তবে সেখানে বিধিনিষেধ একটু কড়া থাকবে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে।