রোববারের নির্বাচনে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এসপিডি ছোট ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও হাল ছাড়তে অস্বীকার করেছেন দেশটির বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের আশীর্বাদপুষ্ট আরমিন লাশেট।
আরমিন লাশেট সরকার গঠনের সংকল্প ব্যক্ত করলেও বলা হচ্ছে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন অব জার্মানি বা সিডিইউর জন্য এই নির্বাচনটি ছিল তাদের ইতিহাসের জঘন্যতম। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল এখনও পাওয়া যায়নি তবে খুব ছোট ব্যবধানে মধ্য বামপন্থী দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এসপিডি জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎজ বলেছেন, সরকার গঠনে তার দল ভোটে স্পষ্ট রায় পেয়েছে। ভোটের ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ পেয়ে এগিয়ে রয়েছে তার দল এসপিডি। অন্যদিকে, ২৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সিডিইউ ও তার শরীক দল।
এদিকে, সমর্থকরা ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ওলাফ শলৎজকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। পরে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ভোটাররা একটি ‘বাস্তবধর্মী সরকার’ গঠনে তাকে দায়িত্ব দিয়েছে।
নির্বাচনের পর বুথফেরত জরিপে দুই দলই সমান ভোট পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত পূর্বাভাস আসতে থাকে এবং এই ফলাফলই যে শেষ নয় এমন ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছিল। আরমিন লাশেট অবশ্য বলছেন, সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেই জয়ী হওয়া যাবে না। পুরো বিষয়টা এখন অংকের হিসেব।
এছাড়া, সরকার গঠনের চাবিকাঠি রয়েছে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পাওয়া গ্রিনস এবং ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পাওয়া এফডিপি দলের হাতে। দু’টি দলের কেউই আলাদা করে চমক না দেখালেও তাদের দুই দলের ভোট একসঙ্গে করলে একটি জোট সরকার গঠনে বড় দুই দলের যে কারোর জন্য সেটি চমক হতে পারে।
তবে তাদেরকে এক ছাদের নিচে আনতে পারাই এখন বড় দু’টি দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ছোট এই দল দু’টিই ৩০ বছর বয়সের নিচে জার্মান নাগরিকদের পছন্দ।
সব মিলিয়ে জটিল আকার ধারণ করেছে এই নির্বাচনের ফল। তবে এটি পরিষ্কার যে, একটি জোট সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাচ্ছেন না বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
সূত্র: বিবিসি বাংলা