রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তালেবান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বলখি বলেছেন, কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে। বিমানবন্দরটি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য সম্পূর্ণরূপে সচল। `ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’ সব এয়ারলাইনকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছে এবং আশা করছে, যেসব দেশ ও এয়ারলাইন অতীতে কাবুলে নামতো, তারা ফ্লাইটগুলো আবার চালু করবে।
উড়োজাহাজ চলাচলে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজেদের অবস্থান থেকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে নিশ্চয়তা দেন এ তালেবান নেতা।
গত ৩১ আগস্ট পশ্চিমা বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ার আগে কাবুল বিমানবন্দরের রাডার, কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় প্রায় সরঞ্জাম নষ্ট করে দেয়। ফলে আফগান রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিলেও বিমানবন্দরটি সচল করতে বেশ বেগ পেতে হয় তালেবানকে। এর জন্য তারা কাতার ও তুরস্কের দ্বারস্থ হওয়ার খবরও শোনা গেছে।
চীনা সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার খবর অনুসারে, কাবুল বিমানবন্দরে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান ও পাকিস্তানের উড়োজাহাজ অবতরণ করেছে এবং গত কয়েক সপ্তাহে পাকিস্তান, ইরান ও কাতারের বেশ কিছু বাণিজ্যিক ফ্লাইটও চলাচল করেছে বলে নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।