যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কড়া আক্রমণ করে বলা হয়েছে, যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কতাকে পিছনে রেখে রাজনীতিকে আগে রেখেছিল। আর তার মাশুল শুধু টাকা দিয়ে নয় জীবন দিয়ে দিতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তাইওয়ান আগে থেকে সতর্ক করার পরও করোনাভাইরাস নিয়ে অনেক দেরিতে সতর্ক করেছে হু। মার্কিন প্রশাসনের এক মুখপাত্র বলেছেন, তাইওয়ান আগেই সতর্ক করেছিল, তা সত্ত্বেও সেই তথ্য চেপে গিয়ে তাদের বিবৃতিতে দাবি করেছিল যে মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না।
তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট চেন চেন জেন নিজেই একজন এপিডেমোলজিস্ট। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাইওয়ানের চিকিৎসকরা জানতে পেরেছিল, যে তাদের কিছু বন্ধু-বান্ধব অসুস্থ হয়ে পড়ছে চীনের উহানে। এরপরই সেকথা জানানো হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। কিন্তু হু তাতে কোনো গুরুত্ব দেয়নি বলেই দাবি তাইওয়ানের।
এদিকে, তাইওয়ান যে সতর্ক ছিল তা সেখানকার সংক্রমণের পরিস্থিতি দেখলেই বোঝা যায়। চীন থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে শুরু করলেও পাশে থাকার তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছে মাত্র ৩৮০ জন, মৃত্যু হয়েছে মাত্র পাঁচ জনের।
ট্রাম্প আগেই দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস ছড়ানোর পরেও চীনের একাধিক তথ্য গোপন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনকী হুকে অর্থ সাহায্য বন্ধ করারও হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় হুয়ের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ।
সূত্র: কলকাতা নিউজ টুয়েন্টিফোর।