শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এই অ্যাপের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানের জুনাইদ আহ্মেদ পলক, আমি খুবই খুশি এবং চমকপ্রদ যে বাংলাদেশে এত সুন্দর গেইমস তৈরি করা হয়েছে। আমি যখন এই গেমিং অ্যাপটি উদ্বোধন করার আমন্ত্রণ পেলাম তখন জানলাম, বাংলাদেশ দেশের ছেলেরা একটা গেমিং অ্যাপ তৈরি করেছে। আমি দেখলাম এটা একটা বিশ্ব মানের গেম।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মুশফিকুর রহিম যেভাবে আমাদের দেশকে অনেক জয় এনে দিয়েছেন। আগামী দিনে তার নেতৃত্ব গেমিং বিশ্বেও আমরা নেতৃত্বে দিতে পারি। আমি এই প্রত্যাশা করছি।
তিনি জানান, অল্পদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে বিলিয়ন ডলারের গেমিং -এর বাজার তৈরি হবে এবং লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। এজন্য এরইমধ্যে আইসিটি ডিভিশন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাব স্থাপনের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা ছাড়াও বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গেমিং অ্যাপটির নির্মাতা ও উদ্যোক্তা কেপিসি এন্টার প্রাইজের চেয়ারম্যান কাজী সাজেদুর রহমান, গেমিং অ্যাপটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও টারটেইল সলিউশনসের চেয়ারম্যান খান রিফাত সালাম এবং বাংলাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল হাকিম।
অনুষ্ঠানে মুশফিকুর রহিম বলেন, আমার নামে যখন একটা গেইম শুরু হলো তখন আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। আমার মনে হচ্ছে এই গেমের মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন একটা যুগের সূচনা হচ্ছে। আমি সেই আশাই করছি। এর মাধ্যমে সাজিদ ভাই আর বাকিরা যে সবাইকে একটা সুস্থ্ বিনোদনের সুযোগ করে দিয়েছে, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এই গেমস থেকে প্রাপ্ত অর্থের দুই শতাংশ মুশফিক ফাউন্ডেশনে যাবে যা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।