সানোফির শেয়ার অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করলো বেক্সিমকো ফার্মা

সানোফির শেয়ার অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করলো বেক্সিমকো ফার্মা
বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি সানোফি বাংলাদেশের অধিকাংশ শেয়ার অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এ জন্য বেক্সিমকো ফার্মার খরচ হয়েছে ৪৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর সানোফি অধিগ্রহণের অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি জানায় বেক্সিমকো ফার্মা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ওই অনুমোদন দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি সানোফি বাংলাদেশর অধিকাংশ শেয়ার অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেয় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে তার ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলো।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বেক্সিমকো ফার্মার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেডের যে ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ার সানোফি গ্রুপের হাতে ছিল, তা কিনে নিতে চুক্তি করেছে তারা। সানোফি বাংলাদেশের এই শেয়ার অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড।

সানোফি বাংলাদেশের বাকি ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ আছে বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় এবং ১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের হাতে।

সে সময় জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেইন এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টমেন্ট বিভাগের ছাড়পত্র এবং ক্রয়-বিক্রয়ের অর্থ লেনদেনের অনুমতি পেলেই সানোফির সঙ্গে চূড়ান্ত ক্রয় চুক্তি করবে বেক্সিমকো, সেজন্য ৩-৯ মাস সময় লাগতে পারে।

বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই অধিগ্রহণ বেক্সিমকো ফার্মার জন্য একটি শক্তিশালী কৌশলী পদক্ষেপ। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদী উভয় কোম্পানির জন্যই নতুন নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। এছাড়া এই চুক্তির মাধ্যমে কোম্পানির টেকসই প্রবৃদ্ধির ভিত মজবুত হবে ও আন্তর্জাতিক বাজারে কোম্পানির সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, এই অধিগ্রহণের ফলশ্রুতিতে বেক্সিমকো হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, চর্মরোগ চিকিৎসার ওষুধ এবং টিকা বাজারজাতকরণের মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি ও অবস্থান আরও দৃঢ় করতে পারবে।

১৯৫৮ সালে ‘মে অ্যান্ড বেকার’ নামে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি সানোফি। পরে ২০০৪ সালে সানোফি-অ্যাভেন্টিস গ্রুপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হয়। ২০১৩ সালে কোম্পানিটির নাম বদলে সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড রাখা হয়।

টঙ্গীতে এ কোম্পানির একটি ওষুধ তৈরির কারখানা রয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিভিন্ন টিকা, ইনসুলিন ও কেমোথেরাপির নানা ওষুধ সানোফি বাংলাদেশে আমদানি করে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, টিউমার চিকিৎসা, চর্মরোগ এবং সিএনএসে সানোফির ওষুধ বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।

চুক্তির আওতায় টঙ্গীতে থাকা সানোফির ২৫ একর জায়গাজুড়ে একটি সেফালোস্পিরিন এন্টিবায়োটিক তৈরির কারখানাসহ অন্যান্য ওষুধ তৈরির কারখানার মালিকানাও পাবে বেক্সিমকো।

২০১৯ সালে বিশ্ববাজারে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য বিক্রি করা ফরাসি কোম্পানি সানোফির পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা মনে করি, বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা পুরোপুরিভাবে কাজে লাগানোর মতো অবস্থানে সানোফি নেই। এ অবস্থার পরিবর্তনে সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেডে থাকা আমাদের শেয়ার হস্তান্তরের জন্য অংশীদার খুঁজছি আমরা।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত