রোববার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।
বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া অক্টোবরের পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
গত মাসের শেষের দিকে বঙ্গোসাগরে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব‘। তা গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছিল। সেই ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব পড়েনি বাংলাদেশে। তবে চলতি মাসে একটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে কোন সময় সেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে, তা জানানো হয়নি।
অক্টোবর মাসের শেষার্ধে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে। অক্টোবর মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে সার্বিকভাবে বাংলাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে খুলনা ও বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে সেপ্টেম্বরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
সেইসঙ্গে আবহাওয়া অফিস এ-ও জানিয়েছে, আর বেশিদিন থাকবে না বৃষ্টি। চলতি মাসের শেষের দিকে বিদায় নিতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আগামী দুই দিন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চাঁদপুরে, ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১০১ মিলিমিটার। দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরসমূহের জন্য কোন সতর্কবার্তা নেই এবং কোন সংকেতও দেখাতে হবে না।