তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু, প্রকৃতি ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ (এসডিজি) অর্জনের জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জলবায়ুসহিষ্ণু জাতি গঠনের জন্য অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় (২০২১-২০৪১) উন্নত ও টেকসই পরিবেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে গ্রিন গ্রোথ স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দক্ষিণ কোরিয়ার সুওন শহরে অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের ফোর্থ সেশন অব দ্য ফোরাম অব মিনিস্টার্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অথোরিটিজ অব এশিয়া প্যাসিফিকে ঢাকার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিবেশমন্ত্রী ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদী পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত এবং কার্যকরভাবে জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাসের মাধ্যমে একটি নিরাপদ, জলবায়ু-সহিষ্ণু এবং সমৃদ্ধ বদ্বীপ অর্জনের জন্য সরকার বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ নিয়েছে। গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন কমাতে বাংলাদেশ এ বছরের ২৬ আগস্ট ইউএনএফসিসিতে সংশোধিত এবং উন্নত ‘ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন্স জমা দিয়েছে।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু সহিষ্ণুতা ও প্রকৃতিভিত্তিক পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব প্রদান এবং স্থানীয়ভাবে বাস্তবায়নযোগ্য অভিযোজন পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ২০৩০ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এছাড়া, সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান, ‘কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান অন এনভায়রনমেন্ট, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ, রিনিউয়েবল এনার্জি রোডম্যাপ, প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যান প্রভৃতি বাস্তবায়নে কাজ করছে বলেও জানান মন্ত্রী। জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত এ সব কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তিনি আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কামনা করেন।