‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিরা পাঁচ শতাংশ সুদে এ ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়া সারের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের জন্য ১০০ কোটি টাকা, বীজের জন্য ১৫০ কোটি টাকা এবং কৃষকদের জন্য আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া রাখা হয়েছে।’
রবিবার (১২ এপ্রিল) গণভবন থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ প্রণোদনার ঘোষণা দেন।
সূচনা বক্তব্যেই কৃষকদের জন্য এ সুখবর দেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, এ প্রণোদনা গ্রামাঞ্চলের ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের জন্য। যারা পোল্ট্রি, কৃষি ফার্ম, ফলমূল, মসলা জাতীয় খাদ্য পণ্য উৎপাদন করবেন তারা এখান থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
কৃষকের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কোনও জায়গা ফাঁকা রাখবেন না। একটু জায়গাও ফেলে রাখবেন না যার যতটুকু জায়গা আছে সবটুকুতে চাষাবাদ করুন।’
তিনি বলেন, কৃষক যাতে ফসলের ন্যায্য দাম পায় সরকার সে বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ্য রাখবে। এ লক্ষ্যে এবার খাদ্য মন্ত্রণালয় দুই লাখ মেট্রিকটন বেশি ধান-চাল ক্রয় করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এখন ধান কাটার মৌসুম। কৃষি শ্রমিকদের কাজ ও যাতায়াতে সহযোগিতা করুন যাতে তারা যেখানে কাজ করতে যেতে চায়, সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারেন।'
এ ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা অংশ নেন। অপরদিকে মাঠ পর্যায় থেকে এ দুই বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এখন জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা যার যার জেলার সার্বিক পরিস্থিতি সরকার প্রধানকে অবহিত করছেন।