শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি সোমা মুমতাজ নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এক সাবেক শিক্ষার্থীর বিয়ের আশীর্বাদে অংশ নিতে আফসার আহমেদ স্যার খুলনায় গিয়েছিলেন। আশির্বাদের অনুষ্ঠান শেষে আজ (শনিবার) সকালে যশোর বিমানবন্দর থেকে বিমানযোগে ঢাকায় ফিরেন। বিমানবন্দরে নামার পর তার হৃদক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দেয়৷ চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে সরাসরি জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নেওয়া হয় অধ্যাপক আফসার আহমেদকে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু দুপুর পৌনে দুইটার দিকে তিনি সকলকে বিদায় জানিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. আফসার আহমেদের জন্ম ১৯৫৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার উত্তর জামশা গ্রামে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যযুগের বাঙলা আখ্যান কাব্যের আলোকে বাংলাদেশের নৃগোষ্ঠী নাট্য শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য তাঁকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করে।
আফসার আহমেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রোত্তর কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার ড. সেলিম আল দীনের সঙ্গে ১৯৮৬-৮৭ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকে তিনি নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষকতায় নিয়োজিত থেকে উক্ত বিভাগের সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের ডীন, প্রক্টর, সিনেট-সিন্ডিকেটের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আফসার আহমেদ একাধারে কবি, নাট্যকার, অনুবাদক, গবেষক ও সাহিত্য সমালোচক।