রবিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, ভারতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার ৪৪৬। এর মধ্যে ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার ১৩টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহামারি মোকাবিলায় সরকারের কৌশল বদলের অংশ হিসেবে মোদির নেতৃত্বে ‘কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স' সোমবার থেকে কাজ শুরু করবে। ওই কাউন্সিলে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের মতো সিনিয়র মন্ত্রীরা।
ওড়িশা, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ এই পাঁচ রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে তারা এই মাসের শেষ পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়াবে। এদিকে বিহারের রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছে, তাদেরও লকডাউন বাড়াতে কোনও আপত্তি নেই। তবে তারা বন্যাত্রাণ ও গ্রামীণ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে চায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যদি লকডাউন না হতো তাহলে ভারতের ৮ লাখ ২০ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতো।
ভারতজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনার ৩৩টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এই হটস্পটগুলোতে কড়া নজরদারি চালানো হবে। মহারাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে দিল্লিতে। সেখানেও আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। মারা গেছে ১২৭ জন।
শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘বহু উন্নত দেশের তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি ভালো। কেননা আমরা লকডাউন তাড়াতাড়ি শুরু করেছিলাম। এখন এটা তুলে নেওয়া হলে যাবতীয় লাভই ক্ষতির মুখে পড়বে। এটা বাড়ানোটাই তাই গুরুত্বপূর্ণ।'
মুম্বাইয়ে তাজমহল প্যালেস ও তাজমহল টাওয়ার্স হোটেলের অন্তত তিনজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মেলার পর সেই স্থানকে হটস্পট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
মুম্বাইয়ের ধারাভি বস্তি এলাকায় নতুন করে ছয়জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এশিয়ার বৃহত্তম এ বস্তিতে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।