রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ফল প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনটি গ্রুপ থেকে ৩ হাজার করে মোট ৯ হাজার জনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে বিভাগ পছন্দক্রম পূরণ করতে পারবে। কোনো ভর্তিচ্ছু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পছন্দক্রম পূরণ করতে না পারলে ‘এ’ ইউনিটে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং ‘এ’ ইউনিটের কোনো বিভাগে ভর্তির আর সুযোগ থাকবে না। এছাড়া বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা ন্যূনতম ৪০ পেয়েছে, তারা আগামী ১৩ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে বিভাগ পছন্দের অনলাইন আবেদন সম্পন্ন করতে পারবে।
আলাদাভাবে তিনটি গ্রুপ থেকে মেধাক্রম অনুসারে প্রথম এক হাজার ৫০০ জন পরীক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ১৮ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। পরে তিন গ্রুপ থেকে মেধাক্রম এক হাজার ৫০১ থেকে তিন হাজার পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ১৯ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। পোষ্য কোটার সাক্ষাৎকার ১৯ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পছন্দক্রম পূরণকারী ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে মেধাক্রমানুসারে প্রথম নির্বাচন তালিকা আগামী ২৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। প্রথম নির্বাচন তালিকায় নির্বাচিতদের ২৫ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে মধ্যে অবশ্যই ভর্তি হতে হবে। এছাড়া শূন্য আসনের জন্য অপেক্ষমান তালিকা থেকে মেধা ও পছন্দক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ভর্তি সংক্রান্ত সাক্ষাৎকার ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তর এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটার ভর্তি সংক্রান্ত সাক্ষাতকার প্রধান চিকিৎসকের দপ্তরে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে দপ্তর দুইটি থেকে যথাসময়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
এ ছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (ru.ac.bd) পাওয়া যাবে।
গত ৫ অক্টোবর ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ইউনিটের (কলা, আইন, সমাজবিজ্ঞান, চারুকলা অনুষদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) অধীনে আসন রয়েছে দুই হাজার ১৯টি। এই ইউনিটে নিবন্ধিত শিক্ষার্থী ছিলেন ৪৩ হাজার ৫৫৮ শিক্ষার্থী। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩৩ হাজার ৪৪৭ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিল ১০ হাজার ৭৪১ জন। ফলে উপস্থিতির হার ছিল ৭৬ শতাংশ।