ফ্রান্সভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এপি-ফার ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের শারীরিক তথ্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের পর এই তথ্য জানিয়েছে। তারা সবাই ৫০ থেকে ৭৫ বা তারচেয়ে অধিক বয়সী। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলেছে এ বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ ও তা পর্যালোচনার কাজ।
গবেষণায় যে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে- তাদের অর্ধেক, অর্থাৎ ১ কোটি ১ লাখ মানুষ জুলাইয়ের টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছিলেন, বাকি অর্ধেক টিকা নেননি। যারা ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, তারা সবাই নিয়েছেন ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা মডার্নার করোনা টিকা।
ফ্রান্সের মহামারিবিদ ও গবেষক দলের অন্যতম সদস্য মাহমুদ জুরেইক বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের জানামতে, বয়সভিত্তিক টিকার কার্যকারিতা বিষয়ে এটি এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় পরিসরের গবেষণা।’
‘গবেষণায় আমরা দেখতে পেয়েছি, ৫০ থেকে ৭৫ বছর বয়সী যেসব ব্যক্তি এই তিন টিকার কোনো একটির দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় তারা ডেল্টার বিরুদ্ধে ৯২ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা ভোগ করেন।’
‘যাদের বয়স ৭৫-এর বেশি, তাদের বেলায় এই সুরক্ষার হার ৮৪ শতাংশ।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এই তিন টিকার ডোজ যারা নিয়েছেন, তারা ডেল্টা থেকে সুরক্ষার পাশাপাশি করোনায় গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু থেকেও প্রায় একই পরিমাণ সুরক্ষা লাভ করেন।
মাহমুদ জুরেইক জানান, করোনা টিকার দুই ডোজ ৫০ থেকে ৭৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুঝুঁকি ৯০ শতাংশেরও বেশি কমাতে পারে। যাদের বয়স আরও বেশি, তাদের ক্ষেত্রে এই হার ৮০ শতাংশের উর্ধ্বে।
সোমবার এপি-ফারের এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে এএফপিকে জানিয়েছেন জুরেইক।