৩৪ কোটি টাকার বেশি কর ছাড় পেল অ্যাক্টিভ ফাইন

৩৪ কোটি টাকার বেশি কর ছাড় পেল অ্যাক্টিভ ফাইন
দেশে নিবন্ধিত দেশীয় ও জয়েন্ট ভেঞ্চারভিত্তিক অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনক্রিডেন্স (এপিআই) মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে আয়কর থেকে শর্তসাপেক্ষে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ওষুধশিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে উৎসাহিত করতে বিনিয়োগকারীদের এ সুবিধা দিয়েছে সরকার। এর ফলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অ্যাক্টিভ ফাইনস কেমিক্যালস লিমিটেড সবচেয়ে বেশি কর সুবিধা পাবে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৩৮ টাকা করছাড় পাচ্ছে। মূলত অ্যাক্টিভ ফাইনসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর যাচাই শেষে এ খাতের কোম্পানির কর অব্যাহতি সুবিধা দিয়েছে।

গত ১২ অক্টোবর এনবিআর চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে কর সুবিধা ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হয়, যা ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্রমতে, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল হচ্ছে এপিআই, যা প্রায় সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর। এপিআই খাতে টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ সুবিধা দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত (দেশীয় ও জয়েন্ট ভেঞ্চার) অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনক্রিডেন্স (এপিআই) মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে আয়কর থেকে শর্তসাপেক্ষে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য শর্তগুলো হলো ২০২২ সাল পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা পেতে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে তার নিজস্ব কারখানায় স্থানীয়ভাবে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করতে হবে।

২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধা পেতে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর অন্তত পাঁচটি নতুন এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করতে হবে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর বিধি অনুসারে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। মানহীন ওষুধ উপকরণ উৎপাদন করলে জরিমানা আরোপিত হবে এবং ওই বছরের কর সুবিধা বাতিল করা হবে।

২০১৮ সালে বাংলাদেশে ওষুধ খাতে বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে জাতীয় এপিআই (কার্যকর ওষুধ উপকরণ) ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন-রপ্তানি নীতি করা হয়। ওই নীতিমালায় বাংলাদেশে নিবন্ধিত সব এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারীদের জন্য কর অবকাশ সুবিধার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল। বাংলাদেশে উৎপাদিত ফার্মসিউটিক্যাল পণ্য অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ মিটিয়ে থাকে। বাংলাদেশ বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। এপিআই না থাকায় ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহƒত এপিআইয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আমদানিনির্ভর কাঁচামালের ওপর ওষুধশিল্প টেকসই হয় না, এমন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দেশীয়ভাবে ওষুধশিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে কর অবকাশসহ বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত