রোববার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় ২-৩ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছি। আসল যারা করেছেন তাদেরও আমরা চিহ্নিত করে ফেলব, খুব শিগগিরই জানাতে সক্ষম হবো। আমরা আশা করছি যেভাবে এগোচ্ছি, খুব শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করতে পারবো।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে সবাই মিলে চলছি। এ জন্য দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছি। হঠাৎ করে এ ঘটনা ঘটানোর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারবো।
দেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা জঙ্গি-সন্ত্রাসকে কোনো দিন স্থান দেইনি। সবাই একত্রিত হয়ে জঙ্গি-সন্ত্রাসকে দূর করেছি। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে আবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে কাদের লাভ হবে? কারা এতে লাভবান হবে আপনাদের কাছে সেই জিজ্ঞাসা আমার।
তিনি বলেন, আমরা অনেক কিছু দেখছি, অনেক কিছু অনুমান করছি, এগুলো আমরা প্রমাণের অপেক্ষায় আছি। প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, হাজীগঞ্জ ও নোয়াখালীতে প্রাণহানি হওয়ায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সুনিশ্চিত, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য করা হয়েছে। আমাদের যে একটা সম্প্রীতির দেশ, সেটা বিনষ্ট করার জন্য এ ঘটনাটা ঘটিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো ধর্মাবলম্বী মানুষ এই কাজটা করতে পারে না। সবাই ধর্মভীরু, যার যার ধর্ম সে সেই ধর্ম পালন করেন। কাজটা যেই করেছেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে করেছেন, যে করেছেন কারো ইন্ধনে এবং স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে বিনষ্ট করতে করেছেন, আমরা সবকিছুই তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবো, যাতে করে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার প্রয়াস যেন কেউ না পায়।