রকিবুর রহমান বলেন, করোনায় দেশের অন্যান্য খাতের ন্যায় বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতিগ্রস্থ। তবে মার্জিন ঋণ নেয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য সেই ক্ষতির পরিমাণ একটু বেশিই। শেয়ারবাজার বন্ধ থাকলেও তাদের মার্জিন ঋণের বিপরীতে সুদজিনত ব্যয় থেমে নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণে পাঁচটি প্যাকেজে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা বা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।
‘এছাড়া কৃষি খাতের জন্য আরও ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। যা এই মুহূর্তে খুবই দরকার ছিল। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই। এর পাশাপাশি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য, বিশেষত ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মার্জিন ঋণ নেয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাই’ বলেন ডিএসইর এই পরিচালক।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে বিনিয়োগকারীরাও অনেক কষ্টের মধ্যে আছেন। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণের সুদে প্রণোদনা বা আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।
‘এই বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে মার্জিন ঋণে ৪ শতাংশের ওপরের সুদ ভর্তুকি দেয়ার জন্য আহ্বান করছি। অর্থাৎ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মার্জিন ঋণ নেয়া বিনিয়োগকারীরা ৪ শতাংশ হারে সুদ দেবে। বাকিটা সরকার ভর্তুকি বা সহায়তা দেবে। আগামি ১ বছর এই সুবিধা দিতে হবে’ বলেন ডিএসইর সাবেক এই সভাপতি।