সোমবার (১৯ অক্টোবর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। বৈঠকের পর সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে জেলা-উপজেলা প্রশাসন কাজ করে, এখানে কোনো ঘাটতি আছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজকে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে এটা আগেই বলে দেওয়া হয়েছে হোম মিনিস্ট্রিকে, যে এটা স্টার্ন অ্যাকশনে যেতে হবে যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে অবশ্যই ধরতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে, রি-অ্যাকশন করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমার কুরআনের যদি কেউ অবমাননা করে, কোরআন আমাকে অথরিটি দেয়নি যে ঘরবাড়ি ভাঙবো, সেটা ঠিক না। এটা অপরাধ। ধর্ম নিয়ে অবমাননা করে তাহলে প্রতিবাদ করতে পারি, সরকারের কাছে দাবি করতে পারি যে ধরে শাস্তি করতে হবে। কিন্তু ধ্বংসাত্মক কাজ করবো, এটা সম্পূর্ণ আন-এক্সেপস্টেবল, এটা ঠিক না। ইসলামে যেটা সবচেয়ে বড় অপরাধ ফিতনা।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে এটাই বলা হয়েছে যে এটা অলরেডি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্ট্যান অ্যাকশন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যারা এগুলোর সূত্রপাত করলো তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবে। পাশাপাশি ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বলা হয়েছে, ছোটখাট টুয়িস্টিং কেউ করলেই যে এইভাবে রি-অ্যাকশন করতে হবে, এটা করা যাবে না।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে (কুমিল্লার বিষয়ে) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়মিত ব্রিফ করছেন, সেখানে আমাদের ইন্টেলিজেন্সও কাজ করছে। গতকাল রাতেও আমরা বসেছিলাম। নিশ্চয়ই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজবে ব্রিফ করবেন। সেজন্য আমি আর এটা নিয়ে বলছি না। কুমিল্লার বিষয়ে আমরা ধারণা যে খুব কুইকলি একটা ফাইন্ড আউট হবে।’
ফেসবুক বন্ধের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘না।’