বুধবার (২০ অক্টোবর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটি এবং জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ আয়োজিত যৌথসভায় এ কথা বলেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
এলডিসির দেশগুলোতে কোভিড-১৯ মহামারির ভয়াবহ প্রভাবের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা এর থেকে উত্তরণে বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব এবং উৎপাদন সক্ষমতা বিনির্মাণে পর্যাপ্ত সম্পদ সরবরাহের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কোভিড ভ্যাকসিন প্রাপ্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবধান আবারও এলডিসির দেশগুলোকে পেছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যেখানে উন্নত দেশগুলো প্রায় শতভাগ ভ্যাকসিন প্রদান নিশ্চিত করার কাছাকাছি সেখানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে এই হার শতকরা দুই ভাগেরও কম। এই ব্যবধান কমিয়ে আনতে এলডিসির দেশগুলোতে ভ্যাকসিন প্রযুক্তি হস্তান্তরই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা।.
বাণিজ্য ব্যবস্থা ও উৎপাদন সক্ষমতার মধ্যকার আন্তঃসম্পর্কের প্রতি আলোকপাত করে বিশ্ব বাণিজ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজারে দেশগুলোর পূর্ণ প্রবেশাধিকারের সুযোগ দিতে হবে।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোকে যাতে আবার এলডিসি ক্যাটাগরিতে ফিরে যেতে না হয় তা প্রতিরোধে ওইসব দেশে যে বিশেষায়িত ও আলাদা বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে তার মেয়াদ আরও কমপক্ষে ১২ বছর বৃদ্ধি করা উচিত।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রে বর্তমানে এলডিসি-৫ এর প্রস্তুমূলক কমিটির কো-চেয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন।