বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) কোম্পানির ৮ম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এ সভা আয়োজন করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে ব্যাংকের পরিচালক এস. এম. আমজাদ হোসেন, ক্যাপ্টেন এম. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোখলেসুর রহমান, মিজানুর রহমান, বেগম সুফিয়া আমজাদ, হাফিজুর রহমান বাবু, মোহাম্মাদ নাওয়াজ, এজেডএম শফিউদ্দিন (শামীম), তাহমিনা আফরোজ, মোসা. নাসিমা বেগম, মো. আনোয়ার হোসেন, শেখ সাইদুজ্জামান, মোহাম্মদ আইয়ুব, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমান, মো. সাজিদুর রহমান ও প্রফেসর মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়াসহ শেয়ারহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ এবং সভা পরিচালনা করেন কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মোকাদ্দেস আলী।
সভায় চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, করোনা মহামারিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দাভাবে বিগত দুটি বছর ব্যাংকিং খাতের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসবিএসি ব্যাংকের দক্ষ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের মুনাফার ধারা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সুশাসনে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এ ব্যাংক সর্বোচ্চ নীতিগতমান নিশ্চিত করে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দ্বারা পরিচালিত হবে।
দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা, ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আমরা পরিচালিত হবো। আপনরার জানেন, ব্যাংক একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, যা জনগণের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে দেশের উন্নয়নে অংশীদারির ভূমিকা পালন করে। সুতরাং গ্রাহকদের সন্তুষ্টির জন্য আমাদের সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ২০২০ সালের বার্ষিক সাধারণ সভা আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। কেননা এই বছর থেকে আমরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছি। এখন এই ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার ৫৬ থেকে প্রায় দেড় লাখে উপনীত হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। আমরা এই ব্যাংকটিকে একটি জনকল্যাণমূলক ও ব্যবসাসফল ব্যাংকে রূপান্তর করতে চাই। ব্যাংকের প্রত্যেক আর্থিক সূচক যেনো টেকসই ও প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ইতিবাচক থাকে সে জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কাজ করবে। মহামারি কোভিড পরিস্থিতিতে ব্যাংকের মুনাফায় কিছুটা আঘাত এসেছে সত্য কিন্তু ইতোমধ্যে দেশের আমদানি-রফতানিতে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আশা করছি, আগামীতে ব্যাংক কাঙ্খিত মুনাফা করতে পারবে।
ব্যাংকের তথ্যে জানা যায়, ২০২০ সালে ব্যাংকের মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৮ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। এবছর শেষে ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা এবং ঋণ ও বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। ২০২০ সালে ব্যাংকের নিট মুনাফা হয়েছে ৯৫ কোটি টাকা এবং আর্নিং পার শেয়ার দাঁড়িয়েছে ১.৩৯ টাকা।