গত রোববার ঢাকায় সকল বিদেশি মিশনে এই তথ্য পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশি নাগরিকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এবার তা আরও ১৫দিন বাড়ানো হলো। বাংলাদেশে থাকা সকল কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘের দফতর সমূহ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রোববার (১২ এপ্রিল) নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে।
বিদেশি মিশনগুলোতে পাঠানো সরকারের এই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সকল দেশের যাত্রীদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ।
পাশাপাশি বিদেশি নাগরিক যাদের বৈধ ভিসা রয়েছে বা নতুন ভিসার জন্য আবেদন করেছেন, এমন নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য ৭২ ঘণ্টার ভেতরের মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে হবে যাতে ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন এবং এ ধরনের কোনো লক্ষ্যণও নেই সে বিষয়টি উল্লেখ থাকতে হবে।
বাংলাদেশে প্রবেশ করা মাত্রই বিমানবন্দর বা সমুদ্র বন্দর বা স্থল বন্দরে এই মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। চিঠিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এমন দেশ থেকে যারা আসবেন বাংলাদেশে প্রবেশের তাদের দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তারা হোম কোয়ারেন্টিনে নাকি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকবেন সে সিদ্ধান্ত বন্দরের কর্তৃপক্ষ নেবে।
যারা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন আইন-শৃংক্ষলা বাহিনী তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে পর্যবেক্ষণ করবেন। বাংলাদেশে কূটনৈতিক মিশনগুলোতে কর্মরত কূটনৈতিক, কর্মকর্তা, পাসধারীরা এবং তাদের পরিবার জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। তবে করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণ করলে দূতাবাসকে ভ্রমণকারীর নিজস্ব ব্যবস্থায় কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া করোনাভাইরাস মুক্ত এমন মেডিকলে সার্টিফিকেট ছাড়া বিদেশি পাসপোর্টধারী বাংলাদেশিদেরও বাংলাদেশে এসে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আর মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যদি বাংলাদেশে প্রবেশের সময়ে তার ভিতর করোনাভাইরাস আক্রান্ত্রের লক্ষণ পাওয়া যায় তবে তাকে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
এছাড়া বিদেশি নাগরিকরা যারা বৈধভাবে বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তাদের ভিসা ৩ মাস বর্ধিত করার সুযোগ রেখেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।