দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের রোজগার এখন বন্ধ। এ অবস্থায় তাদের সহায়তার জন্য সরকার ওএমএসের চালের দাম কমিয়ে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করে। কিন্তু ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি না করে মজুত এবং সরকারি ত্রাণের চাল বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির খবরে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলছেন, চাল চুরির ঘটনা ও বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেই মূলত ওএমএস কর্মসূচি স্থগিত করেছে সরকার। যদিও প্রশাসন এসব ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে ত্রাণ বিতরণ ও ওএমএস কার্যক্রমের চাল বিক্রির অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে চাল চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, যেসব এলাকায় ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল চুরি বা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে, সেসব এলাকার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে সাসপেন্ড করার জন্য ডিজিকে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম জানিয়েছেন, ওএমএসের চাল দেওয়ার সময় লোকজন ভিড় করছেন। এতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা হচ্ছে না। তাই করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে খুব শিগগিরই ভিন্ন ব্যবস্থায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সাধারণ মানুষের জন্য ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়।