মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনা করলে, যারা বিনিয়োগ করতে আসবেন, তারা শুধু বাংলাদেশ পাবেন না, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজার ধরার এবং রফতানি করারও সুযোগ থাকবে তাদের। প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যের যোগাযোগের একটা সেতু হিসেবে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে ভবিষ্যতে। যেটা আমাদের দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে আরও সহায়তা করবে।
বিমানবন্দর এবং সমুদ্র বন্দরগুলোকে উন্নত করা হচ্ছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক এয়ারপোর্ট হিসেবে গড়ে তুলছি। যাতে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোও ব্যবহার করতে পারে। আমাদের পোর্ট- চট্টগ্রাম পোর্টকে উন্নত করছি, মংলা পোর্ট এবং আমরা নতুন একটা পোর্ট তৈরি করছি- পায়রা পোর্ট, এটাও গভীর বন্দর হিসেবেই ভবিষ্যতে গড়ে উঠবে। তাছাড়া মহেশখালীতেও ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে, সেটাও বলতে গেলে সমুদ্র বন্দর হিসেবে তৈরি হচ্ছে। আমরা বিভিন্নভাবে সুযোগ সৃষ্টি করছি।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, নৌপথ, রেলপথ, সড়ক পথ এবং আকাশ পথ সবগুলো যাতে উন্নত হয়, আমরা সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশের উন্নতির জন্য সরকার অবকাঠামোসহ অন্যান্য নীতিগত সহায়তা দিতে অঙ্গিকারাবদ্ধ।
সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশে আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি, যেখানে এক কোটির বেশি কর্মসংস্থান হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন এবং ২৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে, যেগুলোতে এরই মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং আরও ৮ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।