যারা সত্যিকারের দুস্থ ও অভাবি তাদের কাছে যেন এই সাহায্য পৌঁছে সেদিকে জোর দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় কয়েক দিন ধরে রেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। সেই সময় এই সব তথ্য জানান।
সেখানে ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে সেবাদানকারী সবাই ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
দুর্ভিক্ষ দেখে দিলে দেশকে কীভাবে রক্ষা করবো? এই কথা চিন্তা করে ৯২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিন বছরের পরিকল্পনা করে আগাম কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কৃষি কাজ যাতে চলমান থাকে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধানকাটায় অংশ নিতে মজুরদের চলাচলের পথ সুগম করা হবে বলে জানান।
এই সময় জনসমাগম এড়ানো ও দুরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা ও গরম পানি পানের প্রতি জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। মৌসুমী ফল খাওয়ারও পরামর্শ দেন।
আরও জানান, রমজান মাসে যাতে পরিবহন ও খাদ্যসামগ্রীতে অসুবিধা না হয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই সময় ঘরে বসে তারাবি পড়ার কথা বলেন। অযথা মসজিদে গিয়ে নিজের বা অন্যকে সংক্রামিত না করার আহ্বান জানান।
আরও জানান, সারা বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে যথা সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ায় বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে।
'আতঙ্কগ্রস্ত হলে অমানুষে পরিণত হয়'- মাকে সম্প্রতি সন্তানদের জঙ্গলে ফেলে আসার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, অমানুষ হওয়ার যৌক্তিকতা নেই। সন্দেহ হলে পরীক্ষা করার কথা বলেন।
ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতিতে খবর পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।