চূড়ান্ত বিপদের মুহুর্তে এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে একজন মানুষের জীবন বাঁচানোর মানবিক দায়িত্ব। সেই সাথে সকলকে ভবিষ্যতে রক্তদানে অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্য জেসিআই ঢাকা ইয়াং এবং আলোর সন্ধান যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করছে। কর্মসূচীর মূল পরিকল্পনা ও সমন্বয়ক জেসিআই ঢাকা ইয়াং এর লোকাল ডিরেক্টর সামিয়া রহমান। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল এই কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানো এবং এক ব্যাগ রক্তের বিনিময় কারো মুখে হাসি ফোঁটানো। তার এই কর্মসূচিতে সহযোগিতা হিসেবে ছিলেন জেসিআই ঢাকা ইয়াং সদস্য এবং আলোর সন্ধানের ট্রেজারার রাজন জাহিদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এডিশনাল ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এস.এম. শামীম, বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আফসার উদ্দিন খান, জেসিআই ঢাকা ইয়াং এর লোকাল প্রেসিডেন্ট নাজমুল হোসেন সবুজ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইয়াং ও আলোর সন্ধানের সদস্যবৃন্দ। সমগ্র রক্তদান কর্মসূচীটি রাজারবাগ কেন্দ্রিয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে করা হয় এবং সংগৃহীত রক্ত তাদের প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঢাকা ইয়াং এর প্রেসিডেন্ট নাজমুল হোসেন সবুজ বলেন,"কেউ যাতে তার কোন বিপদে রক্ত সংকটে না ভোগে এই প্রত্যাশা করি। তাই এই মানবিক কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।"
প্রধান অতিথি এডিশনাল ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এস.এম. শামীম বলেন,"মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে একজন মুমূর্ষু মানুষ যদি রক্তের অভাবে পৃথিবী ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়, তবে এ ব্যর্থতা আমরা যারা বেঁচে আছি তাদেরই। তাই রক্তের অভাবে যাতে কোনো প্রিয় মানুষ পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে না হয়, সেজন্য সকলেরই রক্ত দানের দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই।"
এই কর্মসূচীতে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, স্পন্সর ইভেন্ট ম্যানিয়া জিন্নাহ ট্রেডার্স এবং আইসল্যান্ডকে শুভেচ্ছা স্মারক দেয়া হয়। কর্মসূচী শেষে রক্তদাতাদের জন্য শুভেচ্ছা স্বরূপ উপহার, সার্টিফিকেট এবং খাবার প্রদান করা হয়। উজ্জীবন লাইফ সেভিং কর্মসূচীটি বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। উল্লেখ্য,জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল(JCI) ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী উদ্যোক্তা তরুণদের সংগঠন ও আলোর সন্ধান তরুণদের সেচ্ছাসেবী সমাজকল্যানমূলক সংগঠন।