আদিতমারী উপজেলার কিসামত চন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক খোশ মামুদ জানান, নিজের প্রায় তিনবিঘা জমি এবং বর্গা নেয়া ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষের জন্য উন্নত জাতের ১০ কেজি বীজ দিয়ে বীজতলা তৈরী করেন। চারা গাছগুলো বেশ পুষ্ট হতে থাকলেও, গত কিছু দিনের হীমবাহেরা কারণে বিবর্ণ হয়ে গেছে তার বীজতলা। বেশকিছু চারাগাছ মারা গেছে। যার দরুণ ৮ বিঘা জমির বোরোর চাষাবাদ হুমকির মুখে। এমতাবস্থায় কৃষিবিভাগের কারোর-ই দেখা মিলছেনা বলে জানান, খোশ মাহমুদ।
গ্রামের ঘুরে কৃষক ইয়াকুব আলী, নুরল হক ও আলম মিয়ার সাথে কথা বলে,খোশ মাহমুদের দেয়া তথ্যেরই সত্যতা মিলে। লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে মেলে একই রকম তথ্যচিত্র।
এ সম্পর্কে আদিতমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আলী নুর রহমান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বীজতলায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে। দুই চারদিন রোদ পেলে বোরো বীজতলায় বড় ধরনের কোন সমস্যা হবে না।
লালমনিরহাট কৃষি অধিদফতরের উপ পরিচালক বিদু ভূষন রায় বলেন, জেলার ৫টি উপজেলায় বোরো চাষাবাদের জন্য দুই হাজার ৫শত হেক্টর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বীজতলা তৈরি হয়েছে দুই হাজার চারশত হেক্টর জমিতে। যা চলমান অবস্থায় রয়েছে। শীত বা কুয়াশা থেকে বোরো বীজতলা রক্ষার জন্য পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা অথবা বীজতলায় সেচ দিয়ে চারাগাছের পাতা ও ডগা থেকে কুয়াশার ঠান্ডা পানি ফেলে দিতে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।