শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নবনির্মিত কার্গো টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সকাল ৯টার দিকে সিলেটে পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। বিমানবন্দের নেমেই নির্মাণাধীন নতুন কার্গো টার্মিনাল ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় সঙ্গ ছিলেন জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আব্দুল মোমেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে দাওয়াত না পাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে এতো চিন্তা কেন। সম্মেলন তো শত শত হচ্ছে দুনিয়াজুড়ে, আর নতুন বাইডেন প্রশাসন একটি উদ্যোগ নিয়েছে। বেচারা খুব কষ্ট করে এটা করেছে। এখনও ক্যাপিটালের যে ঘটনা তা সামাল দিতে হচ্ছে। এ রকম একটি পরিপক্ক গণতান্ত্রিক দেশ সেখানেও ঝামেলা হয়। সেদিক দিয়ে আমরা খুব ভালো আছি। আর গণতন্ত্র অন্য কেউ শেখাবে না। দেশের লোকজনই শেখায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক বছর ধরে স্থিতিশীল গণতন্ত্র আছে। সব দেশেরই ব্যত্যয় আছে, দুর্বলতা আছে। সব বিষয় সামনে নিয়ে দিনে দিনে যাতে ভালো করতে পারি তা আমাদেরই ঠিক করতে হবে। অন্যের ফরমায়েশে গণতন্ত্র হয় না। শুধু মুখে বললে হবে না মনমানসিকতা থাকতে হবে। আমাদের দেশে সহনশীলতা আরও বাড়াতে হবে। একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে। আমরা আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী করবো। কে দাওয়াত দিলো না দিলো তা নিয়ে দুশ্চিন্তা কেন। বরং আমাদের চিন্তা করা উচিত আগামী নির্বাচনে যাতে একটি লোকও মারা না যায়, কোথাও কোনো বিচ্যুতি থাকলে তা সমাধান করার চেষ্টা করব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ দেশে এক সময় গণতন্ত্র ছিল না, দেশের মানুষই গণতন্ত্র এনেছে। আমাদেরই চেষ্টা করতে হবে। আমেরিকার গণতন্ত্রের নমুনা তো দেখেছি। গণতন্ত্র সম্মেলনে কোন কোন দেশকে দাওয়াত দিয়েছে তাও দেখেছি। কাকে দাওয়াত দেবে এটাও তাদের বিষয়।