শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে রাজধানীর খিলক্ষেত ও ডেমরা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ফাতেমা আক্তার অপি ও শেখ মো. আবু তালেব।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, খিলক্ষেতের বনরূপা আবাসিক এলাকার মেইন গেটের সামনে একজন নারী ভারতীয় জাল রুপিসহ অবস্থানের তথ্য পায় খিলক্ষেত থানা পুলিশ। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা আক্তার অপিকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানার পন্ডিতপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসা হতে আরও ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকা থেকে জালিয়াতি চক্রের অপর সদস্য শেখ মো. আবু তালেবকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিসি বলেন, গ্রেফতারকৃত ফাতেমা আক্তার অপি আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করে দেশিয় চক্রের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিপণনসহ ভারতে পাচার করতেন।
গত ২৩ নভেম্বর গ্রেফতারকৃত তালেব উদ্ধারকৃত ভারতীয় জাল মুদ্রা অপর গ্রেফতারকৃত ফাতেমা আক্তার অপির কাছে হস্তান্তর করে। তালেব পাকিস্তানি নাগরিক সুলতান ও শফির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা মার্বেল পাথরের ৫০০ বস্তার মধ্যে গোলাপি সুতা দ্বারা চিহ্নিত ৯৫ বস্তার মধ্যে কৌশলে এসব ভারতীয় জাল মুদ্রা শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।
গ্রেফতারকৃত ফাতেমা আক্তার অপির বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় আগেও জাল টাকার ব্যবসা করার মামলা ছিল। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামিদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিসি।